প্রেমিকার সন্ধান দেবে চ্যাটজিপিটি
প্রযুক্তি দুনিয়ায় এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। এর সবচেয়ে আধুনিকতম সংযোজন চ্যাটজিপিটি। মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই’র তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত তুমুল জনপ্রিয় এই চ্যাটবটের হালনাগাদ ভার্সন ‘জিপিটি-ফোর’ গত মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বাজারে এসেছে। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সংস্থা তাদের ব্যবহারকারীদের নিত্যনতুন সুবিধা দেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে চলেছে জনপ্রিয় এক ডেটিং অ্যাপ সংস্থা।
ওই সংস্থার প্রাক্তন একদল কর্মীর দাবি, তারা এমন একটি এআই চ্যাটবট তৈরি করে ফেলেছেন, যেটি কিনা ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীর হয়ে কথা বলে যোগ্য সঙ্গীর খোঁজ করে দেবে। শুধু তা-ই নয়, কথা হলে যোগ্য মনে হলে কোন দিন দেখা করা যেতে পারে, তার সম্ভাব্য দিনক্ষণও ঠিক করে দেবে।
ওই ডেটিং অ্যাপ সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, ‘কিউপিডবট’ নামের এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে কোনও ব্যবহারকারীর পছন্দ অনুযায়ী তাদের যোগ্য সঙ্গী খুঁজে দেবে। উলটো দিকে যিনি আছেন, তার সঙ্গে দেখা করার দিন ও সময় ঠিক করে তবেই জানানো হবে।
সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্রই এ বিষয়ে উড়ে এসেছে নানা রকমের মন্তব্য। কেউ বলছেন, ‘এ জাতীয় প্রযুক্তি টাকাপয়সা হাতানোর ফাঁদ ছাড়া আর কিছুই নয়।’ আবার কেউ বলছেন, ‘মনের মানুষ খুঁজতে মন ছাড়া আর সব কিছুই আছে।’
এদিকে সম্প্রতি চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি’র হালনাগাদ ভার্সন (আপডেট) উন্মুক্ত করা হয়েছে। এখন থেকে একবারে ২৫ হাজার শব্দ বুঝতে পারবে এই চ্যাটবট, যা আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এছাড়াও চ্যাটজিপিটিতে যুক্ত করা হয়েছে ছবি বুঝতে পারার ক্ষমতাও।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দাবি, সদ্য উন্মুক্ত হওয়া এই ভার্সন ব্যবহারে চ্যাটজিপিটি হবে আরও সৃজনশীল ও সক্ষম।
এতদিন এই চ্যাটবটে ‘জিপিটি-থ্রি পয়েন্ট ফাইভ’ ভার্সন ব্যবহার করা হতো। চ্যাটবটটির এ ভার্সনটি কেবল টেক্সটেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে নতুন জিপিটি-ফোর ভার্সন ছবির বিষয়বস্তু বুঝতে সক্ষম। কেউ রান্নার উপকরণের ছবি দিলে এটি বলে দিতে পারবে, এসব উপকরণ দিয়ে কী কী রান্না করা সম্ভব। কোনো ছবির জন্য ক্যাপশন বা বর্ণনাও লিখতে পারবে এই চ্যাটবট।
২০২২ সালের নভেম্বরে চালু হয় প্রযুক্তি দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দেয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি। দ্রুতই জনপ্রিয়তা পায় এটি। এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার শুরু করেন। সাধারণ ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি এরই মধ্যে চ্যাটজিপিটির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত এই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে মাইক্রোসফট, স্ন্যাপচ্যাটসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।