•• ••

সূর্য আর কত দিন বাঁচবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

Posted on Aug 18, 2022 by IPIT Limited
বিজ্ঞান

সূর্যের বয়স বাড়ছে। কথাটা শুনতে অবাক লাগলেও বিজ্ঞানীরা কিন্তু এমনটাই বলছেন। তাদের বক্তব্য, ধীরে ধীরে মধ্যবয়স পেরিয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছে পৃথিবীর শক্তির এ মূল উৎস।

২০১৩ সালে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) গাইয়া নামক একটি মহাকাশযান মহাকাশে পাঠিয়েছিল। এ মহাকাশযানটির কাজ মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহ-নক্ষত্রের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। গত ১৩ জুন গাইয়ার দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করেই বিজ্ঞানীরা সূর্যের আয়ু অনুমান করছেন।

বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্যের বয়স ৪৫৭ কোটি বছর। সূর্যের অভ্যন্তরে অনবরত হাইড্রোজেন পরমাণু পরস্পর যুক্ত হয়ে তৈরি করছে হিলিয়াম পরমাণু। বিজ্ঞানের ভাষায় এ প্রক্রিয়াটিকে বলে ‘নিউক্লিয়ার ফিউশন’। আর এই প্রক্রিয়াতেই তৈরি হয় বিপুল পরিমাণ শক্তি।

মধ্যবয়সে সূর্য পৌঁছানোই দেখা দিয়েছে নানা সংকট। এসব সংকটের মধ্যে রয়েছে- ঘন ঘন সৌরশিখা সৃষ্টি, করোনাল ম্যাস ইজেকশন (সিএমই) ও সৌরঝড়ের মতো বিষয়গুলো।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্যের ভেতরে হাইড্রোজেনের পরিমাণ যখন কমে আসবে, তখন তার প্রভাব পড়বে এ প্রক্রিয়ায়। ধীরে ধীরে নিভে আসবে সূর্য। কিন্তু কবে ঘটবে এই ঘটনা?
কোন নক্ষত্রের আয়ু কত দিন, তা অনেকটাই নির্ভর করে তার ভরের ওপর। অন্যান্য নক্ষত্রের যে তথ্য পাওয়া গেছে, তা সূর্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই তথ্য বলছে, আরও ৮০০ কোটি বছরে গিয়ে সর্বোচ্চ উষ্ণতায় পৌঁছাবে সূর্য।

তারপর থেকেই সূর্য ক্রমশ শীতল হতে থাকবে। উষ্ণতা যত কমবে ততই বাড়বে সূর্যের আয়তন। ক্রমে লাল রাক্ষুসে নক্ষত্রে পরিণত হবে সূর্য। প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি বছর বয়সে পুরোপুরি মৃত্যু হবে সূর্যের।

ইএসএর এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের সূর্যের বয়স এখন ৪৫৭ কোটি বছরের কাছাকাছি এবং এটি বর্তমানে আরামদায়ক মধ্যবয়স পার করছে এবং হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম জ্বালানি শেষ করছে। তবে বর্তমানে এটি অনেক স্থিতিশীল রয়েছে। কিন্তু সব সময় এমনটা থাকবে না।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, সূর্যের মূল অংশে হাইড্রোজেন জ্বালানি কমে গেলেও ফিউশন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন ঘটলে এটি একটি লাল দৈত্য নক্ষত্রে পরিণত হবে। এতে সূর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমবে। এ প্রক্রিয়া নির্ভর করে নক্ষত্রের ভর ও রাসায়নিক গঠনের ওপর।

গবেষক ওরলাহ ও তার সহকর্মীরা নক্ষত্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলেছেন, ‘আমরা নির্ভুলভাবে নক্ষত্র পরিমাপ করে বিশুদ্ধ নমুনা পেতে কাজ করেছি।’

সূত্র: আনন্দবাজার