ক্রায়োসার্জারি কি
মূলত বরফ শীতল তাপমাত্রায় কোষকলা ধ্বংস করার ক্ষমতাকে ক্রায়োসার্জারি পদ্ধতিটি কাজে লাগানো হয়। এক্ষেত্রে
অত্যন্ত শীতল তাপমাত্রায় কোষকলার অভ্যন্তরের বলের আকৃতিবিশিষ্ট ছোট ছোট বরফের কৃষ্টাল তৈরি হয়ে আক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করে ফেলে। এ যন্ত্রে সাধারণত শীতলকারী হিসেবে তরল নাইট্রোজেন অথবা আর্গন গ্যাস ব্যবহার করা হয়। শরীরের বাইরের দিকে অবস্থিত অঙ্গের ক্ষেত্রে অত্যন্ত শীতল এ পদার্থ আক্রান্ত স্থানের কোষকলার ওপর তুলা জড়ানো শলাকা বা স্প্রে করার কোনো যন্ত্রের সাহায্যে সরাসরি প্রয়োগ করা হয়। এ ক্ষেত্রে কখনো কখনো একটি নলের মধ্যে কার্বন ডাইঅক্সাইডের অত্যন্ত ছোট ছোট বরফের টুকরো তৈরি করে অথবা
এসিটোনের সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় মন্ডের মতো তৈরি করেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রয়োগ পদ্ধতি এবং ঠান্ডার
মাত্রা ক্ষতের আয়তন, কোষকলার ধরণ, গভীরতা ও অবস্থানের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়।
বর্তমানে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারির প্রযুক্তিটির সাফল্যজনক ব্যবহার লক্ষ্যনীয়। বিশেষত ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতের চিকিৎসায় এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। যেমন-ত্বকের তিল, আঁচিল, মেছতা বিভিন্ন ধরনের টিউমার ও ক্যান্সার চিকিৎসায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও পাইলস, মুখের ক্যান্সার, প্রোস্টেট, যকৃত এবং কোনো কোনো হাড়ের ক্যান্সার, জরায়ুর মুখের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন অঙ্গের চিকিৎসায়ও এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।